স্বাস্থ্যহেলথ টিপস

ওভুল্যশান টাইম বা ডিম্বাণুটি ডিম্বাশয় এর কিছু সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলি সম্পর্কে জানুন

ওভুল্যশান টাইমে কি ব্লিডিং বা রক্তপাত হয়ওভুল্যশান টাইমে কি ব্লিডিং বা রক্তপাত হয়

 ওভুল্যশান টাইম আরেকটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি

 

পিরিয়ড ছাড়াও মেয়েদের প্রতি মাসে আরেকটা অস্বস্তিকর সময় পাড়ি দিতে হয়, যার কথা আসলে মেয়েরাও ঠিকমত জানে না তা হচ্ছে ওভুল্যশান । অথচ এ সময় অস্বস্তি, ব্যাথা, বেদনা, কষ্ট সবকিছুর ভেতর দিয়েই সে যায়। কিন্তু জানার অভাবে তারা বুঝতেও পারে না, কেন তার এত কষ্ট হচ্ছে!

ওভুল্যশান কী?

ওভুল্যশান ঘটে যখন ডিম্বাণুটি ডিম্বাশয় থেক মুক্ত হয়। প্রতি ঋতুচক্রের সময় ডিম্বাশয় থেক একটি বা তার বেশী ডিম্বাণু মুক্ত হয়। সাধারণত ডিম্বাশয়ের মধ্যে ১৫-২০ টি ডিম্বাণু পরিণত হয়, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ডিম্বাণুটি ডিম্বাশয়ের গুটিকা থেকে মুক্ত হয়। ডিম্বকটি যখন সম্পূর্ণরূপে পরিণত হয়ে ওঠে কেবলমাত্র তখনই সেটি মুক্ত হতে পারে।

এরপর সেটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে যায়, যেটি ডিম্বাশয় এবং জরায়ুর মধ্যে সাংযোগ স্থাপন করে। এই ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যেই সুযোগ পেলে ডিম্বাণুটি শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয় এবং নিষেক ঘটে। ওভুল্যশান এবং বিভিন্ন হরমোনের মুক্তি হাইপোথ্যালামাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যেটি মস্তিষ্কের একটি পার্ট। সহজ কথায় বলা হয় ওভুল্যশান হল এমন একটি সময় যখন মহিলাদের প্রজননের ও সন্তানধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়।

ওভুল্যশান সময় কখন?

বাংলায় একে কী বলা যায়? হুম, বলা যেতে পারে ডিম্বানু নির্গমনের সময়। এত বড় বাংলায় না গিয়ে ওভুল্যশানই বলি। যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনার ওভুল্যশান এর সময় কখন এবং যদি আপনি বিবাহিত হন তাহলে অরক্ষিত যৌন মিলনের ফলে সে সময়ে আপনার প্রেগন্যান্সি চান্স বেড়ে যায়। যদিও এটা অসুবিধাজনক যে সঠিক ওভুলেশন এর দিনটি নির্ধারণ করা, পরবর্তী ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার ১২ থেকে ১৪ দিন আগে সাধারণত এই ঘটে থাকে। এটা মনে রাখতে হবে যে এটা একটি গড় আনুমানিক হিসাব, ওভুলেশন কয়েকদিন এই সময়ের আগে বা পরেও ঘটতে পারে। ওভুল্যশান হয় সাধারণত পিরিয়ড হবার সপ্তাহ দুই আগে। সহজ কথায় বলি। মেয়েদের শরীরে ইউটিরাস ছাড়াও দুটি ওভারি থাকে। এই ওভারি দুটো থেকে পরিপক্ক একটা ডিম্বানু বের হয়।

এই ডিম্বানুই স্পার্মের সংস্পর্শে আসলে নিষিক্ত হয়ে প্রেগনেন্সি ঘটায়। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে, সাইকেল অনুযায়ী ডিম্বানু বের হয় ওভারি থেকে, তারপর নিষিক্ত হওয়ার জন্য Fallopian Tube এ চলে যায়।  এই ডিম্বানু বের হওয়ার সময়টিই ওভুল্যশান টাইম। পিরিয়ড হবার সপ্তাহ দুই আগে ওভুল্যশান ঘটে।

সাধারণত ঋতুচক্রে ২৮ দিন থাকে, পিরিয়ডের প্রথম দিনটিকে ডে-১ হিসেবে ধরুন। এইভাবে হিসেব অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই  ওভুলেশন ঘটতে পারে।  যদি  ঋতুচক্র অনিয়মিত হয় তাহলে এটি এক সপ্তাহ এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে কখনো কখনো এটি এক মাস পর্যন্ত বা তার বেশি পিছিয়ে যেতে পারে। যখন একবার ডিম্বাণু মুক্ত হয় পর তার আয়ু ২৪ ঘন্টা থাকে।  যদি এই সময়ের মধ্যে এটি নিষিক্ত না হয় তাহলে এটি নষ্ট হয়ে যায় এবং পরবর্তী পিরিয়ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অপরদিকে আপনার সঙ্গীর শুক্রাণুর জীবনকাল অনেক বেশি এটি প্রায় পাঁচ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকে সঙ্গমের পর থেকে।

বাইরে এর কোন প্রকাশ নেই বলে মেয়েরাও এটা টের পাই না, মনেও রাখে না সচরাচর। অথচ প্রেগনেন্সির জন্য এই সময়টা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওভুল্যশানের পর থেকেই প্রেগনেন্সির চান্স তৈরি হয় বেশি। এখন এই ওভুল্যশানের সময়টাতেও কিন্তু মেয়েরা নানাভাবে কষ্ট পায়। কিন্তু যেহেতু সময়টা বেশিরভাগ মেয়ের মাথাতেই থাকে না, তাই শরীরিক কষ্টের কারণ সে উদঘাটন করতে পারে না।

ওভুল্যশান টাইমে যে যে লক্ষন দেখা যায়

সাধারণ লক্ষণ গুলো দেখেই ওভ্যুলেটিং হয়েছে কিনা বুঝতে হয়। আমরা জানার আগ্রহ থেকে, বিভিন্ন লেখালেখি ও ওয়েব সাইট সুত্রে যা পেয়েছি, সেটাই সহজভাবে লিখতে চাইছি। ওভুল্যশানের সময় এর নানা লক্ষণ দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল ব্যাথা। দুই ওভারির কোন একটা থেকে ডিম্বানু বের হয়, ফলে যে কোন এক দিকে, তল পেটের বাম অথবা ডান দিকে এবং হিপবোনে ব্যাথা হয় এ সময়। অনেকটা ব্যাক পেইনের মত লাগতে থাকে। অনেকে ভাবে, ব্যাক পেইন হচ্ছে। অনেকটা পিরিয়ডের সময়ের মত অস্বস্তি হতে থাকে ব্যাথায়। এই ব্যাথা থাকে সাধারণত আটচল্লিশ ঘণ্টা। আটচল্লিশ ঘণ্টার বেশি এই ব্যাথাবোধ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

ঘটনা হল, প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন ওভুল্যশানের সময় এ ধরণের ব্যাথায় আক্রান্ত হয়। শরীর খারাপ লাগতে থাকে। একটানা বসে থাকতে পারাটা কষ্টকর হয়। টানা কাজ করতে পারে না।

১) সারভাইক্যাল ফ্লুয়িডের গঠনের পরিবর্তন

যখন সারভাইক্যাল ফ্লুয়িড ডিমের সাদা রঙের মত হয় যা দেখে বোঝা যায় আপনার ওভুল্যশান দিন কাছে এসে গেছে। আপনার পিরিয়ডের কয়েক সপ্তাহ পর আপনার শরীর ওভুল্যশান এর জন্য তৈরী হতে থাকে এর জন্য মিউকাস পরিষ্কার ও পিচ্ছিল হতে থাকে। মিউকাস এইভাবে প্রায় নয় দিন থাকে। বিভিন্ন মহিলার ক্ষেত্রে এটি দেখতে এবং তার অনুভব ভিন্ন ভিন্ন হয়।যাইহোক ওভ্যুলিউটিং এর সময় সারভাইক্যাল ফ্লুয়িডের গঠন বদলে যায়। যখন আপনার প্রচুর পরিমানে তরল নির্গত হয় (যা স্বাভাবিকের থেকে বেশী) এবং মিউকাস টি স্ট্রেচি হয়ে যায় যখন আপনি তা হাত দিয়ে ধরে বুঝবেন, জানবেন পরের দিন দুয়েকের মধ্যে আপনার ওভুলেশন দিনটি হতে চলেছে।

২) বাসাল বডি টেম্পারেচারের পরিবর্তন

ওভুল্যশান এর আগে পর্যন্ত বেশিরভাগ মহিলার বাসাল বডি তাপমাত্রা এক ই থাকে। যত ওভুল্যশান এর দিন কাছে আসে তত তাপমাত্রা কমতে থাকে, কিন্তু ওভ্যুলেশন এর পর হঠাৎ করে তা বেড়ে যায়। যখন তাপমাত্রা বেরে যায় তখন বুঝতে হবে যে আপনার সবেমাত্র ওভ্যুলেশন ঘঠেছে। কয়েক মাস ধরে যদি বিবিটি লক্ষ্য করা যায় তবে আপনি জানতে পারবেন ক খন আপনার ওভুল্যশান এর সময়।

৩) সারভাইক্যাল পজিশনের পরিবর্তন

জরায়ু সব থেকে নিচের অংশ সারভিক্স অঞ্চলে প্রচুর পরিবর্তন ঘঠে ওভুল্যশান এর সময়। যখন আপনি ওভ্যুলেট করেন তখন সারভিক্সটি নরম এবং উঁচু হয়ে ওঠে, এটি মুক্ত এবং ভিজে যায়। কিছু সময় লাগবে এটা জানতে আপনার সারভিক্স কেমন অনুভব করে আর কি কি পরিবর্তন ঘটে চলে ওভুল্যশাননের সময়। আপনার সারভিক্স অঞ্চলের পরিবর্তনের একটি চার্ট করুন কিছু সময়ের জন্য এবং লক্ষ্ইয় করুন তার প্যার্টানটির।

ওভ্যুলেশন প্রেগনেন্সির অন্যান্য লক্ষণ গুলো হল

  • হালকাস্পটিং
  • শ্রোণীদেশের দুধারে খিঁচুনি এবং যন্ত্রনা হয়
  • পেটে ব্লটিং হয়
  • ওভুলেশন যন্ত্রনা বা পেটের যন্ত্রনা দেখা যায়
  • যৌনখুধা বৃদ্ধি পায়
  • স্বাদ ,গন্ধ, এবং দৃষ্টি বেড়ে যায়
  • নাক দিয়ে জল পড়ে এবং মাথা ধরে

প্রথম দিকে এই লক্ষণ গুলো ধরা শক্ত, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটা বোঝা যায় যে কবে ওভুল্যশান ডেট আর সেই অনুযায়ী গর্ভধারনের পরিকল্পনা করতে পারেন প্রয়োজন অনুযায়ী।

আপনি কি প্রতি মাসে ওভুলেট হতে পারেন?

আপনি কি প্রতি মাসে ওভুলেট হতে পারেন?
আপনি কি প্রতি মাসে ওভুলেট হতে পারেন?

আপনার উদ্বিগ্নতা এবং অসুস্থতা আপনার ওভুলেশনের ওপর প্রভাব ফেলে। মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় চাপ, অস্বাভাবিক ব্যায়াম এবং অনিয়মিত খাদ্যাভাস আপনার ওভুলেশন চক্রের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যার অর্থ হলো সেই চক্রে আর ওভুল্যশান প্রক্রিয়াটি ঘটবে না। এই চক্রে মহিলাদের কিছু রক্তপাত ঘটে যা সাধারণ পিরিয়ড নয় কিন্তু এটি ঘটে জরায়ুর আস্তরণে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করতে না পারার কারণে।

ওভুল্যশান এর কারণ গুলি কি?

মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি ঋতুচক্রের একদম শুরু থেকেই উৎপন্ন করে ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন। এই হরমোন ডিম্বাশয়কে উদ্দীপিত করে পরিণত ডিম্বাণু তৈরি করতে। ডিম্বাশয়ে ফলিকলের গহ্বরগুলি ফ্লুইড দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। সেগুলির প্রত্যেকটি অপরিণত ডিম্বাণু দ্বারা পূর্ণ থাকে। হরমোন ফলিকল গুলিকে উদ্দীপিত করে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপন্ন করতে ও তাদের বিকাশ করতে। অনেকগুলি ফলিকলের বিকাশ হতে শুরু করলেও সাধারণত একটি মাত্র ফলিকলই প্রভাবশালী হয়। ডিম্বাণুটিও এই ফলিকলের মধ্যেই পরিণত হতে শুরু করে।

ওভুলেশন এর কারণ গুলি কি?
ওভুলেশন এর কারণ গুলি কি?

ইস্ট্রোজেনের মাত্রা যেটি ওভুলেশন এর প্রথম দিনে সবচেয়ে কম থাকে, ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে এবং রক্তপ্রবাহের মাত্রা ও পুষ্টিগুণ বজায় রেখে গর্ভস্তরের পুরুত্ব বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, যেটি গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য আপনার শরীরকে প্রস্তুত করে। যদি ডিম্বাণুটি নিষিক্ত হয় ডিম্বাণুটিকে বাঁচিয়ে রাখার এবং বড় করে তোলার জন্য এই আস্তরণটি প্রয়োজনীয় সমর্থন এবং পুষ্টির যোগান দেয়। অতিরিক্ত মাত্রায় ইস্ট্রোজেন বন্ধুসুলভ শুক্রাণুর মিউকাসের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেটিকে বলা হয় ফার্টাইল বা উর্বর সার্ভিকাল মিউকাস। পাতলা এবং পিচ্ছিল মিশ্রিত যা মেঘলা সাদা রং এর হয়। এই মিউকাসটি শুক্রাণুকে সহজে সাঁতার কাটতে এবং কয়েকদিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

শরীরে ইস্ট্রোজনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে যার ফলে লিউটিনাইজিং হরমোন (LH) ও বেড়ে যায়। LH প্রবাহ ফলিকল বিদারণে প্রভাব বিস্তার করে। এবং তারপর ফলিকল ডিম্বাণুকে ডিম্বাশয় থেকে মুক্ত করে এবং ফ্যালোপিইয়ান টিউবে প্রবেশে সাহায্য করে।  এইটি ওভুল্যশান ঘটার কারণ।

কিভাবে আগে থেকে ওভুল্যশান বোঝা যায়?

যদিও ওভুল্যশান এর সঠিক দিন আগে থেকে নির্ধারণ করা খুবই শক্ত ব্যাপার। তবুও কয়েকটি পদ্ধতি আছে যেগুলির দ্বারা ওভুলেশনের কাছাকাছি আনুমানিক দিন নির্ধারণ করা যায়।

১) ক্যালেন্ডার পদ্ধতি

যদি আপনার ঋতুচক্র টি স্বাভাবিক হয় তবে আপনি এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। যেটি আবার স্ট্যান্ডার্ড ডে মেথড নামেও পরিচিত। এই পদ্ধতিতে আপনার পরবর্তী পিরিওডটি যেদিন থেকে হবে আশা করা হয় তার থেকে ১৪ দিন পিছিয়ে গণনা শুরু করতে হয়। ওভুল্যশান এর দিন থেকে এবং এর ৫ দিন আগে থেকে প্রজননের চরম মুহূর্তটি গণনা করা হয়।

যদিও এটি খুব সহজ একটি পদ্ধতি। তবুও এটি খুব একটা সঠিক হিসেব দেয় না যদি আপনি আপনার পরবর্তী পিরিওডের নির্দিষ্ট দিনটি জেনেও থাকেন। ঠিক এই কারণের জন্যই আপনার ঋতুস্রাবের ১৪ দিন আগেও অনেক সময় ওভুল্যশান টি ঘটে না।

ওভুল্যশানের দিনটি নির্ভর করে আপনার ঋতুস্রাব শুরুর আগের ৭-১৯ দিনের মধ্যে। ফলে ওভুলেশনের সম্ভাবনাটি পিরিয়ডের ১৪ দিন আগে খুবই কম থাকে। এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের ফলে অনেক সময় প্রজন্মের সবচেয়ে চরম মুহূর্তটিকে আপনি ফসকে ফেলতে পারেন সম্পূর্ণভাবে। ফার্টিলিটি ওভুল্যশান ক্যালকুলেটরের সাহায্যে যে কেউ খুব সহজে স্বাধীন ভাবে ওভুলেশনের দিনটি গণনা করতে পারেন।

২) ওভুল্যশান প্রেডিক্টর কিট

ওভুলেশন প্রেডিক্টর কিট
ওভুলেশন প্রেডিক্টর কিট

হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য ওভুল্যশান প্রেডিক্টর কিট টি ব্যবহার করা হয়। এই টেস্ট কিটটি দুই ধরনের হয়। একটি মূত্র পরীক্ষা করে এবং অপরটি সালিভা পরীক্ষা করে। একটি স্টিকের সাহায্যে মূত্র দ্বারা পরীক্ষা টি LH এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া কে নির্দেশ করে। যেটি নির্দেশ করে যে আপনার ডিম্বাশয় থেকে খুব শীঘ্রই একটি ডিম্বাণু মুক্ত হবে। স্যালাইভা টেস্ট করতে গেলে। একটি মাইক্রোস্কোপ এর প্রয়োজন হয়। শুকনো লাল আর পরীক্ষা করে বোঝা যায় যে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা। যেটি ওভুল্যশানের কয়েকদিন আগে ঘটে থাকে।

ওভুল্যশান কিট LH প্রবাহ সনাক্তকরণ এর ক্ষেত্রে ৯৯ % সঠিক ভাবে কাজ করে। যাই হোক ওভুল্যশান কিট টি সঠিকভাবে জানান দিতে পারে না যে ওভুল্যশানটি এক বা দুই–কদিন পরে ঘটবে। আবার অনেক মহিলার ডিম্বাণুর মুক্তি ছাড়াও LH প্রবাহের প্রবণতা দেখা যায়। আর তারা ভ্রান্ত ধারণার শিকার হতে পারেন।

৩) বাসাল বডি টেম্পারেচার চার্টিং

চার্টিং মেথড ব্যবহার করে আমরা জানতে পারব ওভুল্যশান এর দিনগুলি। আপনাকে অবশ্য কয়েকটি ঋতুচক্র ধরে আপনার শরীরের অনুযায়ী এই বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে। বেশ কিছু সময় ধরে আপনার শরীরে প্যার্টান টি লক্ষ্য করলে আপনার পরবর্তী ওভ্যুলেশনেরস দিন সম্ভন্ধে জানতে পারবেন। এটা আপনি বিনামূল্যে করতে পারবেন যদিও এর জন্য প্রচুর সময় অধ্যাবসায় এবং ধৈর্য রাখতে হবে।

বাসাল বডি টেম্পারেচারের পরিবর্তন
বাসাল বডি টেম্পারেচারের পরিবর্তন

বিবিটি পরিবর্তিত হয়  ওভুল্যশানের পর থেকে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। একজন মহিলার ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ হয় ওভুল্যশান এর দুদিন আগে। যদিও একটি ডিম্বাণুর জীবনকাল মাত্র একদিন। বিবিটি পদ্ধতি যদি মানা হয় তাহলে সন্তান ধারণের জন্য খুব কম সময় থাকে।

) সারভাইক্যল মিউকাস পদ্ধতি

সারভাইক্যাল মিউকাস হল যোনি নি:সরণ যার দাগ অর্ন্তবাসে দেখা যায়। সারা মাস ধরে আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে অল্প পরিমান মিউকাস বের যা চটচটে এবং ঘন। যাই হোক ওভুল্যশান এর সময় এবং তার তিন চার দিন আগে পরে নি:সরনের পরিমান বেড়ে যায় ও গঠনের পরিবর্তন দেখা যায়। এটি পরিষ্কার, পিচ্ছিল এবং খুব স্ট্রেচি হয়। এটা আপনার ওভুল্যশান দিন জানতে সাহায্য করে।

এই পদ্ধতিতে একজন মহিলা ওভ্যুলেটিং দিন জানার জন্য সারভাইক্যাল মিউকাস ওপর নজর রাখতে হয়।

এটি অনেকটাই নির্ভর করে মহিলাটির বিচার বিচক্ষ্ণতার ওপর যেহেতু কোনো রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় না। ফলে মাঝে মাঝেই ভুল হয়। যাদের বেশী পরিমানে অনিয়মিত ঋতুচক্র চলে তাদের প্রচুর পরিমানে মিউকাস নির্গত হয় সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে ফল পাওয়া যায় না।

তাই আপনি যদি আপনার ওভ্যুলেশন এর সময় জানতে চান তা হলে উপরেরযে কোনো পদ্ধতিতে তা বের করতে পারবেন।

ওভুলেশন টেস্টটি কখন করা উচিত?

এটি জানা আছে যে যখন আপনি ওভুলেশন এর পর্যায়ে থাকেন আপনার প্রজননের সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনা থাকে সেই সময়টিতে। ওভুলেশন টেস্ট আপনার ঋতুচক্রে ওভুলেশন –এর দিনগুলি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।আপনার প্রস্বাবে লিউটিনাইজিং হরমোনের উপস্থিতিকে ভালোভাবে চিহ্ণিত করতে ওভুলেশন টেস্টটি ভীষণভবে সাহায্য করে।এই পরীক্ষাটি তাদের জন্য ভীষণভাবে উপকারী, যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না।

ওভুলেশনের ১২–৩৬ ঘণ্টা আগে LH এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বেশী।এটি আপনাকে জানতে সাহায্য করে যে আপনার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণুটির মুক্ত হওয়ার সময় হয়েছে আবার অন্যভাবে বলা যায় যে এটি জানান দেয় যে কখন আপনি ওভুলেশন এর পর্যায় এ রয়েছেন।যদি ওভুলেশন টেস্ট এর ফলাফল পজেটিভ হয় এর অর্থ হল আপন ওভুলেটিং এর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।

আপনার ঋতুচক্রের থেকে ১৭দিন পিছিয়ে ওভুলেশন টেস্টটি করবেন।সুতরাং যদি আপনার ঋতুচক্রটি ২৮ দিনে হয় তবে এই টেস্টটি আপনাকে শুরু করতে হবে ১১ তম দিনের মাথায় এবং সেটি চলবে ১৭ তম দিন পর্যন্ত।যদি আপনার পিড়িয়ডটি অনিয়মিত হয় তবে আপনি এই টেস্টটি শুরু করতে পারেন আপনার স্বল্প দৈর্ঘ্যের ঋতুচক্রের সময়ে,যা শেষ ৬ মাস ধরে আপনি ভোগ করছেন।আপনার ওভুলেশন এর দিনগুলি সম্পর্কে জানতে হলে ঋতুচক্রের বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করা প্রয়োজন।বেশীরভাগ মহিলা ওভুলেট হওয়ার ১২–৩৬ ঘন্টা পরে ওভুলেশন টেস্ট এর পজেটিভ রেজাল্ট পায়।

আপনি দোকান থেকে একটি ওভুলেশন টেস্ট কিট কিনতে পারেন অথবা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।বেশীরভাগ কিটেই উল্লেখ করা থাকে যে দিনের কোন সময়ে আপনার ওভুলেশন টেস্টটি করা উচিত।কিছু কিটে উল্লেখ থাকে ভোরবেলায় যখন LH এর মাত্রা সবথেকে বেশী থাকে তখন ওভুলেশন টেস্টটি করার জন্য,যখন অন্য কিটগুলিতে উল্লেখ থাকে বিকেলে এই টেস্টটি করার কথা –যখন প্রস্বাবে হরমোনগুলিকে দেখতে পাওয়া যায়।তাই সবথেকে ভালো প্যাকেজের নির্দেশগুলিকে মেনে চলা।

আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন আপনার ওভুলেশনের দিনগুলি সম্পর্কে জানা খুবই দরকার যেহেতু এই দিনগুলিতেই আপনার প্রজননের ও গর্ভধারণের প্রবণতা সবথেকে বেশী থাকে।যদিও এটি সত্য যে, ওভুলেশনের নির্দিষ্ট দিন টি সঠিকভাবে কেউই নির্ধারিত করতে পারে না।উপরে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং লক্ষণগুলি আপনাকে আনুমানিক একটি হিসেব করার ধারণা দিতে সাহায্য করে,যা সফলভাবে গর্ভধারণের প্রবণতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

ওভুল্যশান টেস্টটি কখন করা উচিত?

এটি জানা আছে যে যখন আপনি ওভুল্যশান এর পর্যায়ে থাকলে আপনার প্রজননের সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনা থাকে সেই সময়টিতে। ওভুল্যশান টেস্ট আপনার ঋতুচক্রে ওভুল্যশান –এর দিনগুলি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। আপনার প্রস্রাবে লিউটিনাইজিং হরমোনের উপস্থিতিকে ভালোভাবে চিহ্ণিত করতে ওভুলেশন টেস্টটি ভীষণভবে সাহায্য করে। এই পরীক্ষাটি তাদের জন্য ভীষণভাবে উপকারী, যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না।

ওভুলেশনের ১২ – ৩৬ ঘণ্টা আগে LH এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বেশী।এটি আপনাকে জানতে সাহায্য করে যে আপনার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণুটির মুক্ত হওয়ার সময় হয়েছে আবার অন্যভাবে বলা যায় যে এটি জানান দেয় যে কখন আপনি ওভুল্যশান এর পর্যায় এ রয়েছেন। যদি ওভুল্যশান টেস্ট এর ফলাফল পজেটিভ হয় এর অর্থ হল আপন ওভুলেটিং এর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।

আপনার ঋতুচক্রের থেকে ১৭দিন পিছিয়ে ওভুল্যশান টেস্টটি করবেন। সুতরাং যদি আপনার ঋতুচক্রটি ২৮ দিনে হয় তবে এই টেস্টটি আপনাকে শুরু করতে হবে ১১ তম দিনের মাথায় এবং সেটি চলবে ১৭ তম দিন পর্যন্ত। যদি আপনার পিড়িয়ডটি অনিয়মিত হয় তবে আপনি এই টেস্টটি শুরু করতে পারেন আপনার স্বল্প দৈর্ঘ্যের ঋতুচক্রের সময়ে, যা শেষ ৬ মাস ধরে আপনি ভোগ করছেন। আপনার ওভুল্যশান এর দিনগুলি সম্পর্কে জানতে হলে ঋতুচক্রের বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করা প্রয়োজন। বেশীরভাগ মহিলা ওভুলেট হওয়ার ১২–৩৬ ঘন্টা পরে ওভুলেশন টেস্ট এর পজেটিভ রেজাল্ট পায়।

আপনি দোকান থেকে একটি ওভুল্যশান টেস্ট কিট কিনতে পারেন অথবা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। বেশীরভাগ কিটেই উল্লেখ করা থাকে যে দিনের কোন সময়ে আপনার ওভুলেশন টেস্টটি করা উচিত। কিছু কিটে উল্লেখ থাকে ভোরবেলায় যখন LH এর মাত্রা সবথেকে বেশী থাকে তখন ওভুল্যশান টেস্টটি করার জন্য, যখন অন্য কিটগুলিতে উল্লেখ থাকে বিকেলে এই টেস্টটি করার কথা –যখন প্রস্বাবে হরমোনগুলিকে দেখতে পাওয়া যায়। তাই সবথেকে ভালো প্যাকেজের নির্দেশগুলিকে মেনে চলা।

আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন আপনার ওভুল্যশানের দিনগুলি সম্পর্কে জানা খুবই দরকার যেহেতু এই দিনগুলিতেই আপনার প্রজননের ও গর্ভধারণের প্রবণতা সবথেকে বেশী থাকে। যদিও এটি সত্য যে, ওভুল্যশানের নির্দিষ্ট দিন টি সঠিকভাবে কেউই নির্ধারিত করতে পারে না। উপরে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং লক্ষণগুলি আপনাকে আনুমানিক একটি হিসেব করার ধারণা দিতে সাহায্য করে,যা সফলভাবে গর্ভধারণের প্রবণতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

আরও জানতে পড়ুন মাইগ্রেন এর ব্যাথা থেকে মুক্তি লাভ এর উপায়

তথ্য সুত্র:  firstcry.com এবং facebook.

Leave a Reply

%d bloggers like this: