স্বাস্থ্য

সন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি

সন্তান নেওয়ার আসন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতিবশ্যকীয় প্রস্তুতিসন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি

সন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি:

সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কয়েক মাস আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। এতে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে আর মা ও বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য এই প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী ভিটামিন খাবেন? কী খাবার খাবেন? কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? কোন টেস্ট করানো দরকার? কোন টিকা নিতে হবে? ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন কিনা? সন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে  ১০টা পয়েন্টে আজকের আলোচনা।

১। ফলিক অ্যাসিডঃ একটা সুস্থ্য বাচ্চা জন্ম নেয়ার জন্য ফলিক অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের শরীরে যদি পর্যান্ত পরিমাণে ফলিক এসিড না থাকে তবে বাচ্চার ব্রেন আর মেরুদন্ডে গুরুতর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এটা ঠেকাতে প্রেগনেন্ট হওয়ার আগে থেকে সন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সচেতন থাকতে হবে। কারণ গর্ভে বাচ্চা আসার অন্তত ১ মাস আগে থেকে মায়ের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকা প্রয়োজন। তাহলে করণীয় কী? যখন থেকে আপনি প্রেগন্যান্ট হওয়ার চেষ্টা শুরু করবেন, তখন থেকে প্রতিদিন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাবেন। এটা চলবে প্রেগন্যান্ট হয়ে যাওয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত। প্রেগন্যান্ট হওয়ার আগে থেকে যদি আপনি ফলিক  অ্যাসিড না খেয়ে থাকেন তাহলে যখন জানবেন আপনার গর্ভে সন্তান এসেছে সেই দিন থেকে খাওয়া শুরু করবেন। ডোজ হবে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম।

কিছু ক্ষেত্রে বেশি ডোজ খাওয়া লাগতে পারে। যেমন: এই কারণগুলো থাকলে।

(ক) যদি ডায়াবেটিস থাকে (খ) যদি খিঁচুনির ওষুধ চলতে থাকে (গ) যদি আপনার বা বাচ্চার বাবার বা দুজনের কারো পরিবারে অথবা আপনার আগের বাচ্চার ব্রেইনে বা মেরুদণ্ডে জন্মগত ত্রুটি থাকে ইত্যাদি।

এগুলোর কোনটি আপনার সাথে মিলে গেলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন যে, বেশি ডোজের ফলিক অ্যাসিড লাগবে কি না? কিছু খাবারেও ফলিক অ্যাসিড আছে। যেমন পালংশাক, পাতাকপি ইত্যাদি। কিন্তু প্রেগনেন্সি এর জন্য যতটুকু ফলিক্ অ্যাসিড প্রয়োজন সেটা শুধু মাত্র খাবার থেকে নেয়া মুশকিল। তাই আলাদা করে ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়া প্রয়োজন।

২। টিকাঃ আপনার যদি কোন টিকা নেওয়া বাকি থাকে সেগুলো এখন নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাহলে সেই রোগগুলো থেকে আপনি এবং আপনার অনাগত সন্তান সুরক্ষিত থাকবে।

এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো হেপাটাইটিস বি টিকা। কেন এই টিকা নিতে হবে? গর্ভবতী অবস্থায় যদি আপনি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে এবং আপনার কাছ থেকে আপনার সন্তানও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যাদের জন্ম ২০০৩ সালের আগে হয়েছে। তারা ছোট বেলায় এই টিকা পাননি। ২০০৩ সাল থেকে দেশে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়। আমি নিজেও ছোট বেলায় হেপাটাইটিস বি টিকা পাইনি। বড় হয়ে এই টিকা নিয়েছি। টিকা নেওয়ার আগে একটা রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয়, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না। আক্রান্ত না হয়ে থাকলে ৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়। পুরো ডোজ কমপ্লিট হতে কয়েক মাস সময় লাগে। তাই এই টিকা না দেওয়া থাকলে নেয়ার ব্যবস্থা করুন। গর্ভবতী অবস্থায়ও এই টিকা নেয়া যেতে পারে। এটা ছাড়াও ছোট বেলা কোনো টিকা না দেওয়া হলে সেই ব্যাপারে চিকিৎসকের সাথে আলাপ করুন।

যেমন দুই ডোজ এমএমআর টিকা না দেয়া থাকলে গর্ভের শিশু রুবেলাতে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে তার হার্ট, ব্রেন, চোখ, কানে সমস্যা হতে পারে। এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। এই টিকা গর্ভবতী নারীদেরকে দেওয়া যায় না। তাই আগে থেকেই নিয়ে নিতে হয়। টিকা নেয়ার পর এক মাস পর্যন্ত বাচ্চা নেয়া থেকে বিরত থাকতে হয়।

৩। আয়রনঃ আমাদের দেশে অনেক মেয়ে আয়রনের অভাবে রক্ত স্বল্পতায় ভুগে। কিন্তু অনেকেই জানেন না তারা এই রোগটাতে ভুগছেন। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন না থাকা, মাসিকের সাথে রক্ত যাওয়া সহ বিভিন্ন কারণে আয়রনের অভাব হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এই রোগ থাকলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- প্রিরিম্যাচিউর বাচ্চা হওয়া, বাচ্চার ওজন কম হওয়া, মৃত বাচ্চা জন্মানোর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সুখবর হলো এই রোগটা চিকিৎসা করে সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব। সাধারণত কয়েক মাস আয়রন ট্যাবলেট খেতে হয়। তাই আপনি যখন বাচ্চা নেয়ার পরিকল্পনা করছেন, তখনই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। খুব অল্প খরচেই একটা রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় রক্ত স্বল্পতা আছে কি না? আয়রনের লেবেল ঠিক আছে কি না? তারপর প্রয়োজন হলে তখন থেকেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে। সন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি -তে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৪। ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি আমাদের হাড়, দাঁত ও মাংসপেশী সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। গর্ভের বাচ্চার হাড়, দাঁত সহ বিভিন্ন অংশের সুস্থ্য গঠনের জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের অনেকের শরীরে এই ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। ২০১১-১২ সালে একটা জাতীয় জরিপে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে একজন নারীর ভিটামিন ডি ঘাটতি আছে। শুধু খাবার খেয়ে  ভিটামিনের অভাব পূরণ করা যায় না। রোদে গেলে শরীর স্বাভাবিক ভাবে ভিটামিন ডি তৈরী করে নেয়। আবার রোদে না যাওয়া, রোদে গেলেও দেহের প্রায় সবটুকুই কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা, চামড়ার রং ইত্যাদির কারণে অনেক নারীর ভিটামিন ডি ঘাটতি থাকে। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে জানবেন আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে কি না? ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে তা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।  ডাক্তার বলে দিতে পারবেন কি মাত্রায় ভিটামিন ডি খেলে অভাব পূরণ হবে।

৫। ক্যাফেইনঃ গর্ভবতী অবস্থায় অনেক বেশি ক্যাফেইন খাওয়া বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে মা উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন খেলে বাচ্চা কম ওজন নিয়ে জন্মাতে পারে। ফলে নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। মিসকারেজ বা গর্ভপাতের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে। তাই গর্ভবস্থায় পরামর্শ দেওয়া হয় সীমিত পরিমাণে ক্যাফেইন খেতে বা ২০০ মিলিগ্রামের মধ্যে রাখতে। হুট করে ক্যাফেইন খাওয়া কমিয়ে দেওয়া অনেকের জন্য কষ্টকর হয়। তাই খুব বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এখন থেকেই কমিয়ে দেয়া ভালো। কোন খাবারে কতটুকু ক্যাফেইন থাকে জানা যাক। ২০০ মিলিগ্রামের হিসাবে মেলাতে তাহলে সহজ হবে। চা, কফি, কোক, সফট ডিংকস, এনার্জি ডিংকস, চকলেট ইত্যাদি খাবারে ক্যাফেইন থাকে। সাধারণত ৩৫০ এমএল চা এ ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন আর ইনস্ট্যান্ট কফিতে ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। অর্থাৎ গর্ভবর্তী অবস্থায় দিনে দুই কাপ কফি অথবা আড়াই কাপের একটু বেশি চা খাওয়া যাবে। তবে কোক, চকলেট ও অন্য কোন ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খেলে সেই অনুযায়ী কমিয়ে চা অথবা কফি খেতে হবে।

৬। ওজনঃ আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। তাহলে গর্ভধারণের সময় নানা রকম রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াটেবিস, হাই ব্লাড প্রেসার, প্রি-এক্লাম্পসিয়া (Pre- eclampsia) ইত্যাদি। আবার বাচ্চা প্রসবের সময় বাচ্চার কাঁধ আটকে যেতে পারে, বাচ্চা প্রসবের পর অনেক রক্তপাত হতে পারে, নরমাল না হয়ে সিজার করা লাগতে পারে। ওজন স্বাভাবিক থাকলেও এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। কিন্তু ওজন বেশি হলে ক্ষেত্রে ভেদে এই গুলোর সম্ভাবনা দেড়গুণ, দুই গুণ, তিনগুণ, চারগুণ সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়, তখনও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। মায়ের সঠিক ওজন থাকাটা  সন্তান নেওয়ার আবশ্যকীয় পূর্বপ্রস্তুতি ।

যেমন- বাচ্চা প্রিমেচিউর হতে পারে অর্থাৎ, সময় হওয়ার আগেই প্রসব হতে পারে। বাচ্চার ওজন কম হতে পারে। তাই গর্ভধারণের আগে মায়ের স্বাভাবিক ওজন থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কমও না বেশিও না। যখন আপনি বাচ্চা নেয়ার পরিকল্পনা করছেন, আপনার ওজন মেপে দেখবেন স্বাভাবিক আছে কি না। এটা বোঝার জন্য সাধারণত আমরা দেখি উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন ঠিক আছে কি না। এই মাপকে বলা বডিমাসইনডেক্স বা বিএমআই। ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি হয়, তাহলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবেন। আর একটা কথা মনে রাখবেন। যদিও অতিরিক্ত ওজন নিয়ে গর্ভধারণ করলে ঝুঁকি বেশি, কোন ভাবেই গর্ভবর্তী অবস্থায় ওজন কমানোর চেষ্টা করা যাবে না।

৭। স্বাস্থ্যকর খাবারঃ আমাদের প্রত্যেকের সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে আপনি যখন বাচ্চা নিবেন বলে ঠিক করেছেন। তখন স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়ার সময় দেখা যায় আমরা ভাতটাই বেশি খাই। প্লেট ভর্তি করে ভাত নিয়ে সাথে অল্প তরকারি নিই। কিন্তু এভাবে খেলে শরীরে যা পুষ্টি দরকার তা পূরণ হয় না। তাহলে কি করতে পারেন? প্লেটে আগে ভাত না নিয়ে আগে বেশি করে সবজি নিবেন। চেষ্টা করবেন প্লেটের অর্ধেক শাকসবজি আর ফলমূল দিয়ে পূরণ করতে।

খাওয়ার সময় সাধারণত আমরা প্লেটে ফল নেই না। খাওয়ার আগে বা পরে বা নাস্তায় যে ফল খাবেন চিন্তা করবেন সেটুকু প্লেটে রাখলে সবজির সাথে পেটের অর্ধেক ভরে যায় কি না। তারপর প্লেটের চার ভাগের এক ভাগ নিবেন আমিষ জাতীয় খাবার, যেমন-মাছ, মুরগি মাংস, ডাল ইত্যাদি। আর প্লেটের বাকি অংশে অর্থাৎ চার ভাগের এক ভাগে নিবেন ভাত বা রুটি। সাদা চাল ও সাদা আটার পরিবর্তে লাল চাল ও লাল আটা ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। ভাত দিয়ে তরকারি খাওয়ার বদলে আপনি তরকারি দিয়ে ভাত খাবেন। অল্প ভাতের সাথে বেশি তরকারি খেতে হলে তরকারিতে একটু কম মসলা লবণ দিতে হয়। এভাবে খাওয়া শুরু করলে আপনি আপনার মুখের স্বাদ অনুযায়ী রান্না এ্যাডজাস্ট করে নিতে পারবেন। কিছু খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

যেমন-হাইলি প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুড। এসব খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল, চর্বি, চিনি, লবণ দেওয়া আছে। বাসায় রান্না করা খাবারে আমরা যে পরিমাণ লবণ, চিনি বা তেল দিই, অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবারে তার চেয়ে কয়েকগুণ পরিমাণে দেওয়া হয় সুস্বাদু করার জন্য। তাই বাইরে থেকে কিছু কিনে খাওয়ার আগে এগুলো দেখে নেয়ার চেষ্টা করবেন। মোট কথা যখন আপনি বাচ্চা নেয়ার পরিকল্পনা করছেন একটা ব্যালেন্সড ডায়েট বা সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। গর্ভধারণের পরে খাবারে কিছু বিধি-নিষেধ আছে। যেমন কলিজা না খাওয়া। কারণ এতে ভিটামিন এ থাকে যা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

৮। শরীরচর্চাঃ গর্ভধারণ, বাচ্চা প্রসব একটা লম্বা জার্নি। এই ধকলের জন্য শরীর কে প্রস্তুত করতে পারেন ব্যায়াম করার মাধ্যমে। এটার অনেকগুলো সুবিধা আছে। প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রোগ যেমন প্রিক্লেম্পসিয়া, জেস্ট্যাশনাল ডায়বেটিস (Gestational diabetes) হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। আবার এই সময়টাতে অনেকের মন খারাপ লাগে, অস্থির লাগতে থাকে। টেনশন কমাতে, মন ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারে ব্যায়াম।

৯। ধূমপানঃ নারী পুরুষ উভয়েই বাচ্চা জন্মদানে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে ধূমপান। গর্ভবতী মায়ের আশেপাশে যদি কেউ ধূমপান করে তাহলে জন্মের সময় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ২০%। তাই পরিবারে কেউ যদি ধূমপান করে, সেটা এখন বন্ধ করতে হবে। উপরে আর নিচে ক্যাপশনে লিংক দিয়ে দিব। চাইলে দেখে নিতে পারেন।

১০। রোগ নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভধারণের সময় কিছু রোগ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। তাই ভালো হয় একজন ডাক্তারের সাথে তখন পরামর্শ করে নেয়া। আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, খিঁচুনি ইত্যাদি আছে কি না? থাকলে সেটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? পরিবারে কার কী অসুখ আছে? যে ওষুধ খাচ্ছেন তার কোন পরিবর্তন লাগবে কি না? আগের প্রেগনেন্সিতে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে সেই আলোকে এখন কিছু করা লাগবে কী না? মোট কথা সুস্থ্য প্রেগনেন্সি এবং সুস্থ্য বাচ্চা জন্মদানে যা যা করা লাগবে সম্বন্ধে আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি পরামর্শ দিবেন। কোন কিছু নিয়ে যদি আলাপ না করেন বা কথার মধ্যে চলে না আসে তখন সেই ব্যাপারে আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন।

উৎসঃ ডা. তাসনিম জারা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও জানতে পড়ুনঃ বাচ্চা নেওয়ার উপযুক্ত বয়স কত?

Leave a Reply

%d bloggers like this: