আমাদের সম্পর্কে
আলো আসবেই
আমাদের বিশ্বজগতের সবকিছুতেই আপেক্ষিকতার সার্বজনীন উপস্থিতি বিরাজমান। আলো আর আঁধার যেন সেই আপেক্ষিকতার মিশেলে একে অন্যের প্রতিচ্ছবি তথা পরিপূরক। আলো আর আঁধার এই শব্দদ্বয় যেন প্রতিটি মানুষের জীবনে জানা-অজানা, সুখ-দুঃখ, আবেগ-নিরাবেগ, ভালবাসা-ঘৃণা, সংস্কার-কুসংস্কার, শিক্ষা-কুশিক্ষা, পথ-বিপথ এসবেরও প্রতীকী রূপ বা রূপক বা প্রতিচ্ছবি। তাই আমরা বিশ্বাস করি আঁধারকে ম্লান করে আলো আসবেই ।
আমরা অন্ধকারাচ্ছন্ন পথটায় আলোর প্রোজ্জ্বলন চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। শত শত বছরের কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, অন্ধবিশ্বাস কে দূরে ঠেলে, কবিগুরুর উদয়ের পথে থেকে, কবি নজরুলের সত্যের মশাল হাতে আমরা সত্যকে সত্য বলতে চাই, জানার আগ্রহ কে হৃদয়ে ধারণ করে, মনোবলকে শক্ত রেখেই আলোর পথে হাঁটতে চাই, আলোকে আসতে দিতে চাই। আলোকিত এক বাংলাদেশ চাই।
জানি আলো আসবেই
নিরন্তর ঘোর অন্ধকারকে ম্লান করে প্রতিদিন যেমন পুবের আকাশে সূর্য উঠবেই তেমনি আমাদের প্রতিটি জীবনে যেন অফুরন্ত সম্ভাবনার আলো আসবেই, আবার হাসবেই, নতুন আলোয় আলোকিত হবেই। সুদৃঢ় বন্ধন ও অটুট বিশ্বাসের সমন্বয়ে চিত্তের উৎকর্ষ সাধন এবং জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ারই নিরন্তর প্রয়াসে সূর্যের আলোর মতন মনের আলো জন থেকে জনে ছড়ানোর প্রত্যাশায় আমরা চাই আলো আসুক অবিরত।
কেন আমাদের এই আলোআসবেই ডট কম
আলো আসবেই ডট কম লেখক ও পাঠকের জন্য একটি অনলাইন সামাজিক যোগাযোগের প্লাটর্ফম তৈরির উদ্যোগ। যে লেখক লিখতে চায়, নিজেকে লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় – তারা সবসময়ই একটি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখার ভিড়ে নবীন লেখকের লেখা খুঁজে পায়না তার ছাপার জায়গা। দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সেই লেখাটি হারিয়ে যায় অপেক্ষমাণ থাকতে থাকতে। নবীন লেখক হারাতে থাকে তার প্রেরণা। এভাবে অপেক্ষা করতে করতে একসময় উদীয়মান লেখক হারিয়ে যায় সুযোগের অভাবে। এক অদৃশ্য দূর্ভাগ্য বরণ করে নেয় পাঠক সমাজ।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে এই বাধা অনেকটাই দূর করা যায়। ইন্টারনেট ও ওয়েব টেকনোলজি উন্মুক্ত করেছে হাজার সম্ভাবনার দ্বার, দূর করেছে নানা প্রতিবন্ধকতা। এই প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করেই আলো আসবেই ডট কম তার প্রয়াস নিয়ে উপস্থিত হয়েছে লেখক ও পাঠকের কাছে। আলো আসবেই ডট কম এর নেই কোন কাগজের স্বল্পতা। সে প্রকাশ করতে পারে অসীম সংখ্যক লেখা। ঠিক তেমনি, পাঠকের জন্যও নেই কোন সীমাবদ্ধতা বরং রয়েছে যে কোন লেখা যখন খুশি পড়ার স্বাধীনতা।