স্বাস্থ্যহেলথ টিপস

অটিজম কী, অটিস্টিক শিশুর লক্ষণ ও চিকিৎসা

অটিজম কী, অটিস্টিক শিশুর লক্ষণ ও চিকিৎসাঅটিজম কী, অটিস্টিক শিশুর লক্ষণ ও চিকিৎসা

অটিজম

শিশুর বিকাশজনিত একটি সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রের অটিজম সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ অটিজম আক্রান্ত। বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখের মতো অটিজম আক্রান্ত মানুষ রয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও প্রায় ১৫শ’ শিশু। সে হিসাবে প্রতিদিন দেশে ৪ জনের বেশি শিশু অটিজম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ১৯৪৩ সালে আমেরিকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লিও ক্যানার (Leo Kanner) প্রথম মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে রোগটি শনাক্ত করে ‘অটিজম’ শব্দটি ব্যবহার করেন। বিশ্বকে সচেতন করে তুলতে প্রতিবছর ২রা এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হয়।

অটিজম কী

অটিজম (Autism) বা আত্মসংবৃতি কোন বংশগত বা মানসিক রোগ নয় বরং এটি একটি নিউরোলজিকাল বা স্নায়ুবিক সমস্যা যাতে আমাদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এটা একটি মস্তিষ্কের রোগ যাকে ইংরেজিতে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার (Neuro Development Disorder) বলে। অটিজমকে সাধারণভাবে শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই রোগের কারণ সর্ম্পকে এখনও কোনও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি। আত্মসংবৃতির শিশুরা সামাজিক আচরণে দুর্বল হয়, পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম সক্ষম হয়। মানসিক সীমাবদ্ধতা ও একই কাজ বারংবার করার প্রবণতা থেকে এদের শনাক্ত করা যায়।

অটিস্টিক বলতে কী বোঝায় ও কারা অটিস্টিক?

অটিজমে আক্রান্তদেরকে অটিস্টিক বলা হয়। অটিস্টিক শিশুদেরকে কেউ কেউ মানসিক প্রতিবন্ধীও বলে থাকেন। তবে স্বাভাবিক শিশুদের মত এদের জ্ঞান সব দিকে সমান না থাকলেও ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো দিকে তা অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে। এদের কারো থাকে গণিতের উপর অসাধারণ জ্ঞান, কারো বিজ্ঞান, কেউ বা অসাধারণ সব ছবি আঁকতে পারে, কারো আবার মুখস্ত বিদ্যা প্রচুর বেশি হয়।

তাই কোন অটিস্টিক শিশুকে ঠিক মত পরিচর্যা করলে সে সমাজের বোঝা নয় বরং হয়ে উঠতে পারে সম্পদ । তাকে বেড়ে উঠায় সাহায্য করলে সেও হয়ে উঠতে পারে একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, নিউটনের অটিজম ছিল। এছাড়াও অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের কম বেশি অটিজম থাকার ইতিহাস রয়েছে ।

কেন হয় অটিজম:

অটিজম কেন হয় তার সঠিক কারণ আজ পর্যন্ত উদঘাটিত হয়নি। বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের ধারণা ক্রোমোজম নম্বর ৭ -এর অস্বাভাবিকতার সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনেবিকাশের প্রতিবন্ধকতার কারণ, মস্তিস্কের অস্বাভাবিক জৈব রাসায়নিক কার্যকলাপ, মস্তিস্কের অস্বাভাবিক গঠন, বংশগতির অস্বাভাবিকতা, জন্মের সময় সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে চোট প্রভৃতির কথা বলে থাকেন। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবেও আত্মসংবৃতি হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করেন। কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে অটিজমের পাশাপাশি বুদ্ধিগত প্রতিবন্ধকতা, মোটর নার্ভে সমস্যা, অন্ধত্ব বা বধিরতা এবং অতিরিক্ত চঞ্চলতাও দেখা যেতে পারে।

অটিজম আক্রান্তের বা অটিটিস্টিক শিশুর উপসর্গ:

এক এক জন অটিস্টিকের এক একধরনের বৈশিষ্ট্য বা উপসর্গ থাকে।

অটিজম থাকলে শিশুদের কথা বলতে গিয়ে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে:

• ছয় মাস বা তার বেশি বয়সে স্বতঃস্ফূর্ত হাসি বা যে কোন আবেগ প্রকাশ করতে পারেনা।
• ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো কথা না বলা সেইসঙ্গে ইশারা বা হাত বাড়িয়ে কিছু চাইতে বা ধরতে না পারা ।
• যথেষ্ট শব্দভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও অর্থবহ বাক্য রচনা না করতে পারা।
• বার বার একই শব্দ বা বাক্য বলা।
• কথা বলার সময় ইশারা ইঙ্গিতের সাহায্য নেওয়া।
• ভাষা শিখতে না পারা।
• বধিরতা।
• নিজেদের চাহিদা বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ করতে না পারা।
• শরীরী ভাষা, গলার স্বর বা কথার মানে বুঝতে সমস্যা।
• কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে না পারা।

অটিজম থাকলে শিশুর আচরণে যেসব উপসর্গ দেখা যেতে পারে:

• নিজের কাজে আত্ম নিয়োজিত থাকা। কেউ ডাকলে সাড়া না দেওয়া। আশেপাশের মানুষের প্রতি কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানো।
• ভীড় এড়িয়ে একা থাকতে পছন্দ করা কিংবা দূরে দূরে থাকতে চাওয়া বা সবার সাথে মিশতে না চাওয়া। মানুষের স্পর্শে অস্বস্তি বোধ করা।
• নিজের পরিবেশের পরিবর্তন করতে না দেওয়া। এক জায়গায় থাকতে পছন্দ করা। যে কোন পরিবর্তন তার জেদ বা প্রচণ্ড রাগের কারণ হতে পারে।
• কোন বিষয় বা বস্তুর প্রতি অতিমাত্রায় আগ্রহ । যা চায় তা না পেলে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা বা খিঁচুনি উঠা।
• অসংলগ্ন চলাফেরা করা। বন্ধুদের সাথে না খেলে একলা খেলাধুলা করা।

• একটা কিছু নিয়ে লেগে থাকা। কোন কিছু না পারা পর্যন্ত করতে থাকা।
• বিশেষ রঙ, শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ বা স্বাদের প্রতি কম বা বেশি মাত্রায় সংবেদনশীল হওয়া।
• নিয়ম মেনে চলতে না পারা। কোন কাজে মন না বসাতে পারা।
• বিপদ বুঝতে না পারা, আথচ সাধারণ জিনিসকে ভয় পাওয়া।
• বিনা কারণে মেজাজ পাল্টে যাওয়া – অত্যধিক হাসি বা কান্না।
• সামাজিক রীতি নীতি শিখতে না পারা।
• একই কাজ বার বার করা। নিষেধ করলে আরো বেশি করে করা
• খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সমস্যা।
• চোখে চোখ রেখে তাকাতে না পারা।
• অন্যের অনুভূতি বুঝতে না পারা।

যেসব পরীক্ষায় এই অটিজম নির্ণয় করা যায়:

• নিউরোলজিকাল টেস্ট (Neurological Test)
অটিজম ডায়াগনস্টিক ইন্টার্ভিউ – রিভাইজ্ড (ADI-R)
অটিজম ডায়াগনস্টিক অব্জারভেশন শিডিউল (ADOS)
• চাইল্ডহুড অটিজম রেটিং স্কেল (CARS)
• গিলিয়াম অটিজম রেটিং স্কেল (GARS)
• পার্ভেসিভ ডেভেলাপমেন্টাল ডিস্অর্ডার স্ক্রিনিং টেস্ট (PDDST)
• ক্রোমোজোম বা জিনগত (DNA) সমস্যা আছে কিনা জানার জন্যে জিনের পরীক্ষা
• বাচ্চার শেখার ক্ষমতা, ভাষাজ্ঞান, কথা বলার ক্ষমতা ইত্যাদি পরীক্ষা করা

অটিজম আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা ও প্রতিকার:

অটিজম একটি দীর্ঘস্থায়ী অসুখ এবং এটি কখনও সারে না। কোনো রকম ওষুধ দিয়ে অটিজমের শিশুকে সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। অটিজমে আক্রান্ত শিশুকে প্রথম চিকিৎসাই হলো তার রোগকে যতদ্রুত সম্ভব শনাক্ত করা। সঠিক থেরাপির সাহায্যে শিশু সুন্দর জীবন কাটাতে সক্ষম হয়ে উঠতে পারে। তাই যত কম বয়সে এই রোগ শনাক্ত করা যাবে তত দ্রুত এর চিকিৎসা শুরু করা গেলে আশাতীত ফল পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও অটিজম সম্পর্কে যত বেশি করে সম্ভব জানার চেষ্টা করা ও শিশুর উন্নতিকল্পে তাকে অনেকটা সময় দেয়া জরুরি।

তার জন্য বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এই শিক্ষা ছাড়া তার চিকিৎসার আর কোনো বিকল্প নেই। এই শিক্ষার মাধ্যমে তাকে স্বাধীনভাবে চলার উপযোগী করা সম্ভব। এই রোগের চিকিৎসার উদ্দেশ্যই হল শিশুকে স্কুলে যেতে, সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে, স্বাধীন ভাবে চলতে, ঠিকমত কথা বলতে সাহায্য করা। সঠিক এবং নিয়মিত চিকিৎসায় তা সম্ভব।

অটিস্টিক শিশুকে স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করে তুলতে যে পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

অ্যাপ্লাইড বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস (Applied Behavior Analysis):

শিশুকে আলাদা করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাকে ছক বেঁধে নিয়মমাফিক কাজ করা শেখানো হয় । একটা বড় কাজকে ছোট ছোট কাজে ভেঙে নিয়ে সময়মত সেই কাজ করা শেখানো হয়। ঠিকমত কাজ করলে পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাকে কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া হয় এবং তাঁর উন্নতির হিসেব রাখা হয়। এই পদ্ধতি বিভিন্ন রকম হতে পারে।

ডিসক্রিট ট্রায়াল ট্রেনিং (Discrete Trial Training): এক্ষেত্রে একটা বড় কাজকে ছোট ছোট কাজে ভেঙ্গে নিয়ে সময়মত সেই কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া হয় এবং ঠিকভাবে তা শেষ করলে পুরস্কৃত করা হয়।
আর্লি ইন্টেনসিভ বিহেভিওরাল ইন্টারভেনশন (Early Intensive Behavioral Intervention; EIBI): ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্যে ব্যবহৃত পদ্ধতি।
পিভোটাল রেসপন্স ট্রেনিং (Pivotal Response Training; PRI): শিশুকে নতুন জিনিস শিখতে উৎসাহ দেওয়া। এই পদ্ধতিতে উন্নতি পেতে গেলে শিশুকে নিজে থেকেই তাঁর চালচলন কে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
ভার্বাল বিহেভিওর ইন্টারভেনশন (Verbal Behavioral Intervention; VBI): ভাষা শেখানোর জন্যে ব্যবহৃত হয়।

ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন অফ অটিস্টিক অ্যান্ড রিলেটেড কমিউনিকেশন হ্যান্ডিক্যাপড চিলড্রেন মেথড (Treatment and Education of Autistic and Related Communication Handicapped Children; TEACCH):

শিশুর মধ্যে উপস্থিত প্রতিভা ও গুণাবলী নিয়ে উৎসাহ দেওয়া এবং সেটাকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হতে শেখানো। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে আপনার শিশুকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চলাও শেখানো হয় থাকে।

এছাড়াও বিভিন্ন থেরাপি অনুসরণ করা যেতে পারে যেগুলো শুধুমাত্র উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্যে, যা শিশুর ওপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা হতে পারে। ফলে চিকিৎসক এবং অভিভাবক একসাথে স্থির করে নিতে হবে যে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।

ডেভেলাপমেন্টাল, ইন্ডিভিজুয়াল ডিফেরেন্সেস, রিলেশনশীপ বেজ্ড (Developmental, Individual Difference, Relationship-based or Flore Time model): আবেগ ও যুক্তির উন্নতি ঘটানো এবং দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ ক্ষমতা এবং গন্ধ বোঝার ক্ষমতার উন্নতির উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।
অকুপেশনাল থেরাপি (Occupational Therapy): পোশাক পড়া, খাবার খাওয়া, স্নান করা ইত্যাদি শেখানো হয়ে থাকে।
সেন্সরি মাইগ্রেশন থেরাপি (Sensory Migration Therapy): যেসব শিশুরা বিশেষ স্পর্শে বা শব্দে ভয় পায় তাঁরা এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভয় কাটিয়ে উঠতে পারে।

স্পিচ থেরাপি (Speech Therapy): শিশুকে কথা বলা শিখতে সাহায্য করা হয়।
মিউজিক থেরাপি (Music Therapy): গান গাওয়া, সঙ্গীত রচনা এবং বাদ্যযন্ত্র শেখানোর মাধ্যমে শারীরিক উন্নতি।
পিকচার এক্সচেঞ্জ কমিউনিকেশন সিস্টেম (Picture Exchange Communication System; PECS): এটি হল ছবি দেখিয়ে কথা বলা শেখানোর পদ্ধতি।
• প্যারেন্টাল প্রোগ্রামের সাহায্যে বাচ্চার বাবা মাকে এই রোগের ব্যাপারে সঠিক তথ্য প্রদান এবং বাচ্চার যত্ন নেওয়া শেখানো হয়।

অটিস্টিক শিশুর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক দ্বায়িত্ব:

বাবা মা বা অভিভাবিকাদের পক্ষে একজন অটিজম আক্রান্ত শিশুর যত্ন নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। অনেক ক্ষেত্রেই বাবা-মা নিজেরাই হতাশ হয়ে পড়েন। পারিপ্বার্শিক মানুষেরদের আচরণও বিরূপ হয়ে থাকে। এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। শিশুর প্রতি বন্ধুবৎসল আচরণ করা, তাকে সহযোগিতা করা, অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুকে অটিস্টিক শিশুর বিষয়ে বুঝিয়ে বলা আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব।

একজন অটিস্টিক শিশুর মায়ের কথা: “অটিজম থাকা সত্ত্বেও আমার ছেলে একটি স্বাভাবিক শিশু। কাজেই স্বাভাবিক কাকে বলে আলাদা করে আমার জানা নেই। ও অনেক বড় হোক, জীবনে সমস্ত সাফল্য পাক এবং আনন্দে ও খুশীতে ওঁর জীবন ভরে উঠুক।”

সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিশুকে সমান অধিকার এবং সুযোগ দেওয়া উচিত। নির্দিষ্ট আইন এবং সরকারি নীতি থাকা সত্ত্বেও বহু প্রতিষ্ঠানই অটিজম রোগীদেরকে নিতে চায় না। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। আপনার, আমার সবার সহযোগিতায় শিশুর জীবন হয়ে উঠতে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। আমাদের মনে রাখতে হবে সে সমাজের বোঝা নয় বরং হয়ে উঠতে পারে দেশের সম্পদ।

 

তথ্যসুত্র: unicef, wikipedia, whiteswan foundation

আরও পড়তে পারেন: ভ্যাকসিন বা টিকা কী ও কীভাবে কাজ করে?

Leave a Reply

%d bloggers like this: