কবিতা

বাগধারার কবিতাঃ এভাবে সর্বনাশ করোনা

এভাবে সর্বনাশ করোনা

জগবন্ধু সোম

আমার হৃদয় কাননের অফুটন্ত গোলাপ সুমি,

জানতে বড় ইচ্ছে করে এখনও ফুটেছ কি তুমি?

ঘরে বাইরে” তোমার দিনগুলি কাটছে কেমন?

আমার কথা আর কি বলব, ঐ আছি, রেখেছ যেমন।

আমার কাছে তুমি হয়ে আছ এখন “অমাবস্যার চাঁদ”-

কেন আর মিছে ডাকব তোমায়, বাড়িয়ে এই দুটি হাত।

তোমার আমার মাঝে আজ তাই “আকাশ-পাতাল” ব্যবধান

জানিনা আমার এ ভুলের আছে কি কোন সমাধান!

আমার সরলতার জন্য তোমার কাছে হয়েছি “আট কপালে”-

জানতাম না আমি কাউকে ভালবাসলে এই থাকে তার ভালে।

অকারণে তুমি আমার সাথে করেছ “দা-কুমড়া সম্পর্কের” সৃষ্টি

আমায় কখনও ভালবাসনি, ভাবনি দিয়ে অন্তর দৃষ্টি।

ভাবি বসে নিজে, হয়ত আমি “ইঁদুর কপালে” লোক

তুমিও একটু ভেবে দেখ, মরণের পরেও আছে পরলোক।

আজ তোমার “কপাল ফেরায়” হয়েছি তোমার কাছে “গলগ্রহ”-

তোমার কোন কিছুতে ছিলনা কখনও কোন মোহ।

আসলে তোমার হৃদয়টা নিঃশেষ হয়েছে “তামার বিষে”-

ভেবে দেখ তো অর্থ, সুখ কি এনে দিতে পারে সে?

তোমার কারনে “কুল কাঠের আগুনে” আমার হৃদয়টা শুরু করেছে “অক্কা পেতে

চেয়েছিলে তুমি তোমায় সারা জীবন ভালবেসে যাই “কলুর বলদের মত খেটে”।

আজিকে তাই আমার চারিদিকে অন্ধকার-

ঘিরে ধরেছে আমাকে তাই “অকুল পাথার”।

তোমাকে ভালবেসে হল “উলু বনে মুক্ত ছড়ানো

হৃদয়ের চাদরে তাই হল না কভু জড়ানো

বুঝেছি আমার সকল প্রতিশ্রুতি তোমার কাছে ছিল “কথার কথা”-

বোঝাতে চেয়ে তোমায় সময় নষ্ট করেছি অযথা।

আসলে আমি এক “বুদ্ধির ঢেঁকি” তাই হেরে গেলাম

ভেবে দেখ তো একবার, ভালবেসে তোমাকে কি পেলাম?

আজি তাই ভেঙে গিয়েছে আমার “ধৈর্যের প্রাচীর

যন্ত্রণা চারিদিক থেকে জমিয়েছে ভীড়।

ভালবাসা তোমার কাছে “তাসের ঘরের” মত

ক্ষণেক্ষণে, সে তো পাল্টে যায় অবিরত।

তোমার কারণে আমার জীবনে হয়েছে “ভরাডুবি

আমাকে অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন করেছ তুমি চুপি চুপি।

তুমি “গাছে তুলে আমার মই কেড়ে নিয়েছ

ভালবাসার প্রতিদানে শুধুই যন্ত্রণা দিয়েছ।

তোমার আচরণে আমি গিয়েছি “হাবনে”-

ছলনা করে “বিষের আগুন” দিয়েছ আমার মনে।

সেই ছলনায় আজও জ্বলছি “রাবণের চিতায়

বারবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা, থেকে গেল বৃথাই।

তুমি আজ “চাঁদের হাট” নিয়ে আছ অনেক ভাল

আমায় নিয়ে ছিনিমিনি খেলে হৃদয়ে সুখের আলো জ্বাল!

তুমি ছিলে একটা “অগাধ জলের মাছ”, বুঝতে তা পারিনি

ভেবে দেখ তো একবার তুমিও কি একটুও হারনি।

তুমি “ঝোপ বুঝে কোপ মেরে” পালিয়েছ দূরে

আজও তবুও তোমার কথা বেজে উঠে মোর গানের সুরে।

আমি যে ছিলাম তোমার “চোখের বালি” বুঝতে তা পারিনি,

ভুল করেছি, তাই আজও দিয়ে চলেছি “আক্কেল সেলামী”।

ভেবেছিলে তুমি, আমার ভালবাসা “ছেলের হাতের মোয়া

ভাল থাক তুমি, সুখে থাক তুমি ,করি সেই প্রার্থনা।

তুমি একটা “ভিজে বেড়াল” যেন “ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারনা”-

দোহাই তোমার এভাবে “মিছরির ছুরি” দিয়ে আর কারও সর্বনাশ করোনা।

Leave a Reply

%d bloggers like this: