লাইফ স্টাইল ও টিপসস্বাস্থ্য

পেটের মেদ জমার কারণ ও মেদ কমানোর সহজ উপায়

পেটের মেদ কমানোর উপায়পেটের মেদ কমানোর উপায়

পেটের মেদ জমার কারণ:

শরীরে সবচেয়ে বেশি মেদ জমে পেটের অংশে। কারো কারো ভুঁড়িতো মহাভারতের কুম্ভকর্নকেও হার মানায়। যার ফলে আমাদের ফিগারের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। পেটের মেদ শরীরের অন্য অংশের মেদের চেয়ে একটু আলাদা। শরীরের অন্য অংশের মেদ সাধারণত চামড়ার নিচে জমে থাকে। তবে পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রাণঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারে। পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে।

বয়সের সাথে সাথে একটা ব্যাপার নিশ্চয় খেয়াল করেছেন। ওজন বাড়লেই মনে হয় সব মেদ পেটেই জমছে, পেট দেখাচ্ছে একটা বড় টায়ারের মতো। এরকম কেন হয় এই প্রশ্নও নিশ্চয় করেছেন নিজেকে?

আসলে আমাদের দেহ এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যেন তা প্রতিকূলতা থেকে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে রক্ষা করতে পারে আর সন্তান জন্ম দেবার প্রক্রিয়াটাকে সহজ করতে পারে। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে শরীরের কোথায় অতিরিক্ত চর্বি জমা হবে সেই হিসেবও বদলে যেতে থাকে।

আর আমরা যখন ফ্যাট বা চর্বি নিয়ে কথা বলি, তখন ফ্যাট বা চর্বি বলতে আসলে বুঝাই এডিপোজ টিস্যুকে। এই টিস্যুগুলো তৈরি হয় এডিপোজ কোষ দিয়ে যা আমাদের দেহ দৈনন্দিন কাজে কিছুটা ব্যবহার করে। এই কোষগুলোর শক্তি মূলত জমা থাকে এমন সময়ের জন্য, যখন হয়তো আমরা প্রতিদিন তিন বেলা খেতে পারবনা। সে সময় দেহ এই টিস্যুগুলোকে কাজে লাগায়। বুদ্ধিটা চমৎকার, তাই না?

এডিপোজ কোষ আবার দুই ধরনের হয়, সাদা আর বাদামী। সাদা কোষের কাজ প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য শক্তি সঞ্চয় করা আর বাদামীগুলোর কাজ হলো আমাদের দেহকে উষ্ণ রাখা।

 চর্বি জমা থাকে কোথায়?

আমাদের দৈহিক গঠন অনেকখানিই নির্ভর করে আমাদের জিনের উপরে। তাই কারো অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় পেটে আর কারো হয় পশ্চাতদেশে। আর এই অতিরিক্ত চর্বি হলো সাদা আর বাদামী এডিপোজ কোষের মহাসম্মেলন।

বয়সের সাথে সাথে আর আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসের কারণে আমাদের শরীরের গড়ন বদলায় আর কেউ আসলে খুব জোর দিয়ে বলতে পারেনা যে কেন মেদ পেটেই বেশি জমা হয়। তবে খুব সাধারণভাবে বলা যায় যে, একজন সুস্থ নারীর ক্ষেত্রে তার কৈশোর থেকে প্রায় ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত তার নিতম্ব, পশ্চাতদেশ আর বুকে কিছুটা ফ্যাট জমা থাকে। । বিবর্তনের থিওরি অনুযায়ী এই ফ্যাট তার সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে বুকের দুধ খাওয়ানো, বড় করে তোলার মতো বিষয়গুলোতে সাহায্য করবে।

কিন্তু মেনোপজের পর, বাড়তি চর্বি জমতে শুরু করবে পেটের আশেপাশে, আর পা ও পশ্চাতদেশ চর্বি জমার পরিমাণ কমতে থাকবে। যেহেতু এই সময় আর সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা নেই তাই দেহ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে যে পেটের চারপাশের চর্বি শরীরের ভিতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারবে। বিবর্তন আসলে খুবই অসাধারণ একটি প্রক্রিয়া, বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীর কিভাবে বিভিন্ন বদলের সাথে মানিয়ে নেয় তা লক্ষ্য করলেই এটা বোঝা যায়।

আর পুরুষদের ক্ষেত্রে পেটের মেদ বা চর্বি বাড়ার কারণ হতে পারে – অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে রক্ষা, তার প্রতিদিনের ব্যায়ামের মাত্রা আর পারিবারিক ধারা। তবে এই সবকিছুর জন্য যে একেবারে পোক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে তা নয়। তবে এই অনুমানগুলোর ব্যাখ্যাও কিন্তু কম নেই।

পেটের মেদ কমানোর উপায়:

শরীর মোটা নয় কিন্তু পেটে অনেক মেদ কিংবা দেহের কিছু কিছু স্থানে মেদ জমায় খুবই অস্বস্তি বোধ করছি। এমন কথা অনেক বেশি শোনা যায় আজকাল। পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমলে তা আবার আমাদের হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। এটা এড়ানোর উপায় একটাই, ব্যায়াম আর পরিমিত খাবারের সাহায্যে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। এর কি কোন গতি নেই? আছে অবশ্যই আছে।

অনেক সময় আমরা পেটের চর্বি কমানোর জন্য খাবার খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দেই। কিন্তু কোন ফল হয় না। আসলে পেটের মেদ কমানোর কোন সহজ উপায় নেই। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, ধৈর্য ও সাধনা। আসুন জেনে নেই,আমরা কোন উপায়ে  পেটের মেদ কমিয়ে নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারি।

আসুন জেনে নিই কয়েকটি পদ্ধতি যা আপনাকে পেটের মেদ থেকে রক্ষা করবে।

১. প্রতিদিন সকালটা শুরু করুন লেবুর সরবত দিয়ে। এটা হলো পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি পদ্ধতি। ১টি গ্লাসে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে লেবু চিপে সরবত করে নিন। সাথে একটু লবণ মিশিয়ে নিবেন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকাল বেলা এই সরবতটি পান করুন। এই সরবত আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়ায় এবং পেটের মেদ  কমায়।

২. সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি , ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।

৩. চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন একটু। অর্থাৎ চিনিকে না বলুন এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনী, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিন এর জন্য বিদায় নিয়ে নিন।

৪. উচ্চ তেল যুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫. যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, দিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তুলনামূলক কম খাওয়া উচিত।

৬. খাদ্য তালিকাটি ফল আর সবজি দিয়ে পরিপূর্ণ করে নিন। প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময় ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।

৭. ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝাল গুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা গুলো স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।

৮.খাওয়ার সময় কাঁচা লবণ বাদ দিন। এছাড়া চিপস, পনির, বাদাম, টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ লবণ মুখের রুচি বাড়ায়। ফলে খাবার বেশি গ্রহণের জন্য মেদ বাড়তে থাকে।

৯. আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সুষম খাদ্যের তালিকা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তালিকা বানান এবং তা ঠিকভাবে মেনে চলুন।

১০.সপ্তাহে অন্তত কয়েকটা দিন রাখুন আধাঘণ্টা ব্যায়ামের জন্য। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন। কারণ সবার জন্য সব ব্যায়াম ঠিক হয় না। আপনার শরীরের ধরন বুঝে ব্যায়াম করতে হবে।

১১.নিয়মিত হাঁটা এবং সাঁতার কাটলে মেদ কমে। লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করুন এবং কাছের জায়গাগুলোতে হেঁটে যান।

১২. ধূমপানসহ সব ধরনের মাদক দ্রব্য পরিহার করতে হবে।

১৩. চুইংগাম মেদ বাড়াতে সাহায্য করে। চুইংগামে প্রচুর চিনি থাকে। ফলে চিনি খাওয়াতে ওজন বেড়ে যায়।

১৪. হাঁটার সময় সোজা হয়ে হাঁটুন। অবশ্যই সোজা হয়ে বসবেন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পায়ের নিচে ১০ সেমি/৪ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু টুল রাখুন। চেয়ারে কোমর বরাবর ছোট বালিশ রাখুন।

১৫. প্রয়োজনে জামার নিচে চওড়া বেল্ট পরুন। এতে আপাতভাবে ভুঁড়ি কম দেখা যাবে। এছাড়া নিয়মিত বেল্ট ব্যবহার করলে মেদ সহসা বাড়তে পারে না।

১৬. বাগান করলে বেশ ভালো ব্যায়াম হয়। কারণ এতে সবদিকে মুভমেন্ট ঘটে। এছাড়া মন ভালো থাকে ও অলসতা কাটে। ফলে মেদ কমে।

১৭. আপনি যদি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন তাহলে দুপুরে ঘুমাতে যাবেন না। এতে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আপনি জেগে থেকে বিছানায় বিশ্রাম নিতে পারেন।

১৮প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন যদি আপনি আপনার পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চান তবে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান আপনার শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।

১৯. সবকিছুর পরেও  মেদ কমাতে ব্যায়াম এর বিকল্প নেই

আপনার ১ মাসের ডায়েট রুটিন এ রকম হতে পারে।

পেটের মেদ কমানোর খাদ্য রুটিন:

১ম দিন
কলা ব্যতীত যত ইচ্ছা ফল খান, অন্য কোনো খাবার গ্রহন করবেন না, শুধু ফল খাবেন।

২য় দিন
পছন্দ অনুযায়ী শাক-সবজি কাঁচা বা রান্না করে খেতে পারেন। রান্না অবশ্যই মসলা ব্যতীত হতে হবে। পছন্দের শাক-সবজি সিদ্ধ করে পানি ফেলে অল্প তেলে ভেজে নিন লবণসহ।

৩য় দিন
এই দিনে কলা ব্যতীত ফল-মূল, শাক-সবজি ইচ্ছা মতো খাবেন।

৪র্থ দিন
এই দিনে আপনি ৮টি মাঝারি আকারের কলা ও তিন গ্লাস (২০০মিলি) দুধ খাবেন। অন্য কিছু খাওয়া যাবে না।

৫ম দিন
অল্প পরিমাণ চর্বিহীন মাংস ও ৬টি টমেটো খান।

৬ষ্ঠ দিন
এই দিন ইচ্ছামতো চর্বিহীন মাংস ও শাক-সবজি খাবেন।

৭ম দিন
এই দিন বাদামি চাল, ফলের রস এবং সকল প্রকার শাক-সবজি ইচ্ছামতো গ্রহণ করুন।

ফল ও সবজিঃ
এ খাবারগুলোতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার বেশি থাকার কারণে তা কোলেস্টেরল ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। খাবারের আঁশ চর্বি কণাকে বেঁধে ফেলে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফল ও সবজিতে আঁশজাতীয় উপাদান বেশি থাকার কারণে ক্ষুধার অনুভূতি হ্রাস করে। প্রতিদিন অন্তত চার-পাঁচ ধরনের ফল ও সবজি খেলে তা অন্যান্য খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমায়। এ বিশেষ কয়েকটি কারণেই পেটের মেদ কমাতে ফল ও সবজি কাজ করে থাকে।

সবুজ চাঃ
হালকা এ পানীয় কেবল শরীরকে সতেজই রাখে না, সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রাচুর্য পরোক্ষভাবে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।

সামুদ্রিক মাছঃ
সামুদ্রিক মাছে থাকে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিড মেদ বৃদ্ধিতে দায়ী চর্বিকে পোড়াতে এবং শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ থেকে যে ফ্যাট পাওয়া যায় তার নাম ‘পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’। বাদাম ও জলপাই তেলের মতো সামুদ্রিক মাছের ফ্যাটও ওজন হ্রাসে ভূমিকা রাখে।

মসলাঃ
রান্নায় যেসব মসলা ব্যবহার করা হয়, যেমন রসুন, হলুদ, দারুচিনি, আদা— এগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মসলার নিজস্ব গুণাগুণের কারণে তা শরীরকে আয়ুর্বেদিক কিছু উপকারিতা দিয়ে থাকে। আবার মসলা খাবারকে সহজপাচ্য করে, যা খাবারকে সুস্বাদু করার সঙ্গে সঙ্গে হজমেও সাহায্য করে। আদা, দারুচিনি ও হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে।

পানিঃ
শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে পানির ভূমিকা অসাধারণ। বলা হয়, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি ওজন হ্রাসে সরাসরি ভূমিকা রাখে। পানি শরীরকে সতেজ রাখে, অযথা ক্ষুধাভাবকে দূর করে। বারবার পানি পান করার ফলে শরীর চাঙাবোধ করে। মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। তাই ওজন কমানোর অন্যতম আরেকটি জরুরি পদক্ষেপ পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।

মনে মনে ভাবছেন সব খাবারই নিষিদ্ধ। কিন্তু সুন্দর ও সুস্থ দেহ পেতে হলে কিছুটা তো সহ্য করতেই হবে। কথায় আছে না “কিছু পেতে হলে কিছু হাড়াতে হয়।”

 

কোমর ব্যথা বা ব্যাক পেইন কি, কেন হয় ও তার প্রতিকার

 

Leave a Reply

%d bloggers like this: