কিশোরগঞ্জ জেলা
কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। কিশোরগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ড নাম হলো “উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা”। কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহৎ জেলা। ভাটির দেশ হিসেবেও এই জেলা সুপরিচিত।
কিশোরগঞ্জ জেলা : ভৌগোলিক সীমানা
কিশোরগঞ্জ জেলা এর ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে ১৩টি উপজেলা রয়েছে। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোনা জেলা ও উত্তর-পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।
কিশোরগঞ্জের উপজেলা সংখ্যাঃ ১৩টি।
- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা
- অষ্টগ্রাম উপজেলা
- ইটনা উপজেলা
- করিমগঞ্জ উপজেলা
- কটিয়াদি উপজেলা
- কুলিয়ারচর উপজেলা
- তাড়াইল উপজেলা
- নিকলী উপজেলা
- পাকুন্দিয়া উপজেলা
- বাজিতপুর উপজেলা
- ভৈরব উপজেলা
- মিটামইন উপজেলা
- হোসেনপুর উপজেলা
কিশোরগঞ্জ জেলা : ইতিহাস
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী আছে এবং এখনোও তা বিরাজ করছে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকেই কালক্রমে নন্দকিশোরের গঞ্জ বা ‘কিশোরগঞ্জ’-এর উৎপত্তি হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে। ১৪৯১ সালে ময়মনসিংহের অধিকাংশ অঞ্চল ফিরোজ শাহ-এর অধীনে থাকলেও কিশোরগঞ্জ সেই মুসলিম শাসনের বাইরে রয়ে যায়।
পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কালে বেশিরভাগ অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে থাকলেও জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর কোচ ও অহম শাসকদের অধীনে রয়ে যায়। ১৫৩৮ সালে এগারসিন্দুরের অহম শাসক মুঘলদের কাছে ও ১৫৮০ সালে জঙ্গলবাড়ির কোচ শাসক ঈসা খাঁর কাছে পরাজিত হয়। ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ এগারসিন্দুরে আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করেন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর তার পুত্র মুসা খাঁর অধীনে আসে কিন্তু ১৫৯৯ সালে তিনি মুঘলদের কাছে পরাজিত হন।
কিশোরগঞ্জ জেলা এর অর্থনীতির চালিকা শক্তি অনেকটা হাওরের উপর নির্ভর। যেমন: হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদার লভ্যাংশ পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে পাট, ধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি হয়ে থাকে যা দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়। এখানে প্রচুর মৎস্য এবং পোল্ট্রি খামার রয়েছে। বেশ কিছু ছোট বড় কলকারখানা রয়েছে যা জেলার অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। এছাড়া ভৈরব এর জুতা শিল্প দেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য। এই জেলার অনেক জনগন বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছে,যা এই জেলার অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা : নদ- নদী
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা,কালনী, ধনু, নরসুন্দা, বাউরি, ঘোড়াউত্রা
কিশোরগঞ্জ জেলা : দর্শনীয় স্থানসমূহ
জঙ্গলবাড়ি দূর্গ
জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ছিল বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে অবস্থিত। দুর্গের ভিতরে ঈসা খাঁ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে তোলেন। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে দুর্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এগারসিন্দুর দূর্গ
এগারসিন্দুর দুর্গ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ইতিহাসবেত্তা আবুল ফজল রচিত আকবরনামা গ্রন্থে এই গ্রামের নাম উল্লেখ রয়েছে। এটি ছিল অহম শাসকদের রাজধানী। ১৫৩৮ সালে মুঘলরা অহমদের পরাজিত করে এ অঞ্চল দখল করে। এখানেই ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালের স্রোতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি পরিণত হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থানে। ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া ‘সাহেব বাড়ির’ পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন।[২][৩][৪] ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই।
অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়া লাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে এর নাম হয় ‘সোয়া লাখি’ । পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়।[৩] আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে শোলাকিয়া। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।[৫]
চন্দ্রাবতী মন্দির
চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত প্রথম বাঙালি মহিলা কবি স্মৃতিবিজরিত শিবমন্দির। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত।
দিল্লীর আখড়া
দিল্লীর আখড়া মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে নির্মিত। এটি মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত।
জমিদার মানব বাবুর বাড়ি
মানব বাবুর বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রামে অবস্থিত। ১৯০৪ সালে জমিদারির পত্তন হলে ব্রিটিশ জেপি ওয়াইজের কাছ থেকে জমিদারি কিনে নেন গাঙ্গাটিয়ার ভূপতিনাথ চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
সড়কপথে ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে অবাধ যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীর উপর নির্মিত নান্দ্যনিক এক সেতুর নাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু । ১৯৯৯ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০২ সালে শেষ হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থিত ১.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৬০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এই সেতুটিতে ৭টি ১১০ মিটার স্প্যান এবং ২টি ৭৯.৫ মিটার স্প্যান রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে সেতুটি ভৈরব ব্রিজ নামে অধিক পরিচিত। সেতুতে দাঁড়িয়ে মেঘনা নদীর সৌন্দর্য অবলোকনের পাশাপাশি বিভিন্ন নৌযান ও জেলেদের কর্মব্যস্ততা প্রত্যক্ষ করা যায়।সেতুর ঠিক পাশেই রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু, যার অন্য নাম হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলসেতু। বর্তমানে জর্জ রেল সেতুর পাশে আরো একটি নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর যখন সেতুর সমস্ত বাতিগুলো জ্বলে উঠে তখন নদীর তীর থেকে সেতুটিকে দেখতে সবচেয়ে সুন্দর লাগে।
তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি
তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। তালজাঙ্গা জমিদার বাড়িটি প্রায় একশত বৎসর আগে জমিদার বাড়ি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার রাজ চন্দ্র রায়। যিনি ছিলেন শিক্ষিত জমিদার, তখনকার সময়ের এম.এ.বি.এল ডিগ্রীপ্রাপ্ত উকিল ছিলেন। তিনি ১৯১৪ সালে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করার পর প্রায় ৩৩ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি করেন। তার জমিদারি শেষ হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তারপর এই জমিদার বাড়ির জমিদার হন তার ছেলে মহিম চন্দ্র রায়। মহিম চন্দ্র রায়ও বাবার মত ছিলেন শিক্ষিত এবং এম.এ.বি.এল ডিগ্রীপ্রাপ্ত একজন উকিল। তিনি কলকাতা থেকে ডিগ্রী নেওয়ার পর ময়মনসিংহ জজ কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখানকার সভাপতিও ছিলেন।
নিকলীর বেড়িবাঁধ
দ্বিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির বুকে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ পেতে চাইলে চলে যান নিকলী হাওরে (Nikli Haor)। নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিকলি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। পানিতে দ্বীপের মত ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মত ছোট জলাবন ও খাওয়ার জন্যে হাওরের তরতাজা নানা মাছ। এই সব কিছুর অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে নিকলীর অপরূপ হাওর ভ্রমণ আপনার জীবনে মনে রাখার মত একটি ভ্রমণ হিসেবে গেঁথে থাকবে। আর ঢাকা থেকে একদিনেই ঘুরে আসা সম্ভব নিকলী হাওর থেকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এটিকে টুরিস্টস্পট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ।
কিশোরগঞ্জ জেলা: উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- দ্বিজ বংশী দাস – মনসামঙ্গলের কবি।
- চন্দ্রাবতী, প্রথম বাঙালি মহিলা কবি।
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, লেখক, চিত্রশিল্পী।
- কেদারনাথ মজুমদার, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ।
- সুকুমার রায়, কবি, গল্প লেখক ও নাট্যকার।
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- মোহনকিশোর নমোদাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- মনির উদ্দীন ইউসুফ, বিখ্যাত ফার্সীগ্রন্থ শাহনামা অনুবাদক।
- শহীদ ডাঃ এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী, চিকিৎসক এবং বুদ্ধিজীবী।
- চুনী গোস্বামী, ১৯৬২ এশিয়ান গেমস এ স্বর্ণজয়ী বাঙালি ফুটবল খেলোয়াড়।
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী, লেখক।
- হামি উদ্দিন আহমেদ (খানসাহেব), পূর্বপাকিস্তানের প্রথম কৃষিমন্ত্রী।
- নীহাররঞ্জন রায়, ইতিহাসবেত্তা।
- দেবব্রত বিশ্বাস, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী।
- জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
- সত্যজিত রায়, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় চলচ্চিত্রকার।
- আবুল ফতেহ, কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ।
- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন।
- জহুরুল ইসলাম (উদ্যোক্তা), শিল্প উদ্যোক্তা। ইসলাম গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা।
- জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
- আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
- রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক , বাংলাদেশী জাতীয় সংসদের সদস্য।
- আইভি রহমান, একজন সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন রাজনীতিবিদ।
- আবুল কাসেম ফজলুল হক, বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ।
- আনন্দমোহন বসু,অবিভক্ত ভারতের ছাত্র আন্দোলনের জনক। তিনি ছিলেন ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি।
- ওসমান গণি , বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।
- ওসমান ফারুক , রাজনীতিবিদ।
- মুজিবুল হক চুন্নু , বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
- শামীম আরা নিপা
- রিজিয়া পারভীন
- মোঃ মোজাম্মেল হোসেন
- রেবতী মোহন বর্মণ, সাম্যবাদী ধারার লেখক ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বিপ্লবী।
- আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা ।
- সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী।
- ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকনন্দিত নায়ক।
- শাহ আব্দুল হান্নান, ইসলামী দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, লেখক, অর্থনীতিববিদ ও সমাজ সেবক। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। এছাড়াও তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন।
- অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার প্রথম অধ্যাপক ডাঃ ছিলেন।
- ডঃ ওসমান ফারুক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
- গুরুদয়াল দাস, যার নামে গুরুদয়াল কলেজ।
- সিতারা বেগম, বীরপ্রতীক মুক্তিদ্ধা ক্যাপ্টেন।
- মবিন খান, সাবেক সেনাপ্রধান।
- লীলা মজুমদার (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮-এপ্রিল ৫ , ২০০৭ ) একজন বিখ্যাত বাঙালি লেখিকা।
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী (জন্ম:২৩ নভেম্বর, ১৮৯৭ – মৃত্যু:১ আগস্ট, ১৯৯৯)একজন খ্যাতনামা দীর্ঘজীবী বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ।
- এ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য।
- আতাউর রহমান খান (শিক্ষাবিদ) সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন রাজনীতিবিদ।
- আতাউস সামাদ একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক ।
- ফয়সাল আহমেদ কালি ও কলম পুরষ্কার প্রাপ্ত লেখক ।
ঢাকার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আমাদের এই লেখাটি পড়তে পারেন